(Modi government approved 69,515 crore rupees) বছরের প্রথম দিনেই মোদি সরকার কৃষকদের জন্য একটি বড় সুখবর নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় (Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana) বড় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১লা জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট বৈঠকে এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই যোজনাকে আরও আধুনিক এবং কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ফসল ক্ষতির ঝুঁকি কমানো এবং তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা হবে। যোজনার আওতায় প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াও দ্রুততর ও সহজ করা হবে।
৬৯,৫১৫ কোটি টাকা অনুমোদন(Modi government approved 69,515 crore rupees)
কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় (Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana) মোদি সরকার ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই বরাদ্দ টাকার মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য পৃথক ফান্ড হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
এই ফান্ডের মাধ্যমে প্রযুক্তির সাহায্যে ফসল বীমার প্রক্রিয়া আরও আধুনিক, স্বচ্ছ এবং সহজ করা হবে, যাতে কৃষকরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ২৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই ফসল বীমা প্রকল্প চালু রয়েছে।
এখন কেন্দ্রীয় সরকার আরো বেশি সংখ্যক কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যাতে দেশের বৃহত্তর কৃষক সম্প্রদায় এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন এবং ফসলের ক্ষতির সময় আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।
ডিএপি সারের সহায়ক অনুদান ও মূল্য স্থিরকরণ
ফসল বীমা প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ৫০ কেজি ডিএপি সারের বস্তার দাম ১৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।(Modi government approved 69,515 crore rupees)
Read More: Duare Sorkar Camp
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় খোলা বাজারে ৫০ কেজি ডিএপি সারের দাম ৩০০০ টাকার বেশি হয়ে গেছে। তবে কৃষকদের সুবিধার্থে এই অতিরিক্ত খরচ কেন্দ্র সরকার বহন করবে। এর ফলে কৃষকরা নির্ধারিত কম দামে সার ক্রয় করতে পারবেন, যা তাদের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে লাভজনক চাষাবাদে সহায়তা করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে চাইছে।
ভর্তুকির জন্য ৩৮৫০ কোটি টাকা অনুমোদন
কেন্দ্রীয় সরকার ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের উপর ভর্তুকি হিসেবে ৩৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই ভর্তুকির ফলে কৃষকরা নির্ধারিত মূল্যে সার কিনতে পারবেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম।
সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমে যাবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও, সরকার অতিরিক্ত ব্যয় নিজেই বহন করছে। এর ফলে কৃষকদের আর্থিক চাপও অনেকটাই হ্রাস পাবে এবং তারা স্বল্প ব্যয়ে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।(Modi government approved 69,515 crore rupees)
এই উদ্যোগটি কৃষকদের লাভজনক চাষাবাদে সহায়তা করবে এবং কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের পদক্ষেপ
প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় (Pradhan Mantri Fasal Bima Yojana) প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফসল বীমার কাজকে আরও কার্যকর করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে কৃষকরা সহজেই অনলাইনে আবেদন ও তাদের বীমা সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তি যেমন ড্রোন ও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যাতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়।(Modi government approved 69,515 crore rupees)
এছাড়াও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে কৃষি জমির পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষয়ক্ষতির দ্রুত বিশ্লেষণ করা হবে। এর ফলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল হবে। সরকারের এই আধুনিকীকরণ পদক্ষেপ কৃষকদের আরও আর্থিক সুরক্ষা দেবে এবং বীমার সুবিধা সহজলভ্য করবে।
কৃষকদের জন্য সরকারের নতুন আশ্বাস
কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক এই বড় সিদ্ধান্তগুলির ফলে দেশের কৃষক সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা এবং ডিএপি সারের ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা কম খরচে চাষাবাদ করতে পারবেন, যা তাদের লাভজনক কৃষিকাজে সহায়তা করবে।(Modi government approved 69,515 crore rupees)
সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, ড্রোন, উপগ্রহ চিত্র ও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি। এর ফলে চাষাবাদের নির্ভুল পর্যবেক্ষণ, ফসল ক্ষতির দ্রুত মূল্যায়ন এবং সঠিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে দেশের কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং কৃষকদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়বে। এটি শুধু কৃষকদের কল্যাণে নয়, দেশের সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Official Site: Click Here