(Duare Sorkar Camp)রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সরকারি পরিষেবা আরও সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে ২০২৫ সালে আবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালু হবে। এই ঘোষণা সোমবার সন্দেশখালিতে এক অনুষ্ঠানে করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কয়েক বছর আগে সংবাদ শিরোনামে থাকা সন্দেশখালি এলাকাটি এবার প্রথমবারের মতো তিনি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালির মানুষদের জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা নেওয়া হবে, যাতে তারা সহজে সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন। এর অংশ হিসেবে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির স্থাপন করা হবে, যেখানে মানুষকে নদী পার করতে বা কঠিন রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয়।
কাদের জন্য এই শিবির উপযোগী?
এই শিবিরটি বিশেষ করে সেইসব মানুষের জন্য সহায়ক, যারা সরকারি অফিস থেকে অনেক দূরে বসবাস করেন এবং শহরে গিয়ে সরকারি কাজ সম্পন্ন করতে অসুবিধা অনুভব করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই শিবিরের মাধ্যমে সরকার সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছাবে, ফলে তাদের আর বড় সরকারি অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে না। সরকারের লক্ষ্য হল, মানুষ যেন তাদের বাড়ির কাছাকাছি, সহজে এবং দ্রুত সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের সুবিধা আরও বাড়ানো হবে এবং তাদের যাতায়াতের সমস্যা কমানো হবে।(Duare Sorkar Camp)
কী কী উপকারিতা পাওয়া যাবে?(Duare Sorkar Camp)
এই শিবিরে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হবে, যাতে জনগণ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি পেতে পারে। এই পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে জাতপাতের শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী এবং পাট্টা প্রদান। যারা এখনও এই পরিষেবাগুলি পাননি, তাদের জন্য এই শিবিরে সাহায্য করা হবে। এর মাধ্যমে, যারা দূরবর্তী বা অসুবিধাজনক এলাকায় বসবাস করেন, তারা তাদের সরকারি কাজগুলো সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন।
Read More: New Ration Card 2025
কবে এই শিবির শুরু হবে?
এছাড়াও, জানুয়ারির মাঝামাঝি (১৪, ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারি) গঙ্গাসাগর মেলার সময়ও সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই সময়কালেই মেলার অংশগ্রহণকারীরা এবং স্থানীয়রা তাদের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি সহজে পেতে পারবেন। এরপর, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মদিন এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হবে। এই শিবিরটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে, যেখানে আরও অনেক মানুষ সরকারি পরিষেবা সুবিধা নিতে পারবেন।(Duare Sorkar Camp)
আরও বড় খবর হলো, স্থানীয়দের জন্য সরকারি পরিষেবা দ্রুততর করার উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনায় একটি নতুন মহকুমা তৈরির ঘোষণা করেছেন। এটি রাজ্যের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার তার পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নতুন মহকুমা তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সরকারি পরিষেবা আরও সহজলভ্য এবং দ্রুত হবে।
এর আগে, ২০২২ সালে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাটসহ সাতটি নতুন জেলা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন। এই পদক্ষেপগুলো রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনগণের সুবিধার জন্য নেওয়া হচ্ছে।
Official Site: Click Here