Good news- Lakhir Bhandar and the Old Age pension are now offered to all .সুখবর: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বৃদ্ধ ভাতার টাকা সকলের জন্য উপলব্ধ, নিয়ম সহজ করা হয়েছে

By D. Chatterjee

Updated On:

Follow Us
Lakshmir Bhandar

(Good news- Lakhir Bhandar) মহিলাদের ৬০ বছর পূর্ণ হলেই বার্ধক্য ভাতা, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর নতুন সুবিধা

রাজ্যের অনেক মহিলার জন্য সুখবর। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আওতায় যেসব মহিলারা আছেন, তারা ৬০ বছর বয়স পার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পেতে শুরু করবেন।

এতে তাঁদের আলাদা করে আবেদন করতে হয় না। ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা হতে শুরু করবে।

আয়ের ঊর্ধ্বসীমা মুছে ফেলার উদ্যোগ

রাজ্য সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, যার মাধ্যমে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প থেকে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে যারা যুক্ত হবেন, তাদের জন্য মাসিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমার শর্ত আর থাকবেনা। বর্তমানে ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পে বার্ধক্য ভাতা পেতে উপভোক্তাদের মাসিক আয় এক হাজার টাকার কম হতে হয়। তবে, এই নিয়মটি আর চলবে না এবং নতুন নিয়মের অধীনে যারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প থেকে বার্ধক্য ভাতায় যুক্ত হবেন, তাদের মাসিক আয় কত হবে তা আর শর্ত হিসেবে থাকবে না।

সূত্রে জানা গেছে, নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর ইতিমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে, যা এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ। অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করা হবে। এতে রাজ্যের বহু মহিলা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের একত্রকরণ(Good news- Lakhir Bhandar)

রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে বর্তমানে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করা হয়, এবং বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে এটি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় চলে।

১. নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর: এই দপ্তর ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করে। এই প্রকল্পের আওতায়, উপভোক্তাদের মাসিক আয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা উচিত (এক হাজার টাকার কম)।

২. অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর: ‘জয় জোহার’ এবং ‘তফসিলি বন্ধু’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই দপ্তর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বার্ধক্য ভাতা প্রদান করে।

৩. পঞ্চায়েত দপ্তর: এই দপ্তর বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য বার্ধক্য ভাতা প্রদান করে।

৪. কৃষি, পুর, তথ্য ও সংস্কৃতি এবং মৎস্য দপ্তর: এসব দপ্তরও বার্ধক্য ভাতা প্রদান করে, তবে এর আওতা পৃথক।

Read More: Buses will now feature QR codes

২০২০ সালে রাজ্য সরকার বার্ধক্য ভাতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পকে একত্রিত করে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসে। তবে, ‘ওল্ড এজ পেনশন’ প্রকল্পের আওতায় এখনও আয়ের সীমাবদ্ধতা কার্যকর রয়েছে, অর্থাৎ, উপভোক্তার আয় এক হাজার টাকার কম হতে হবে।(Good news- Lakhir Bhandar)

কিন্তু ‘তফসিলি বন্ধু’ এবং ‘জয় জোহার’ প্রকল্পে কোনো আয়ের সীমাবদ্ধতা নেই। এর ফলে, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পান, তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের আওতায় বার্ধক্য ভাতা পেতে থাকেন।

নতুন পদক্ষেপের তাৎপর্য

মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর যদি আয়ের শর্ত তুলে দেওয়া হয়, তবে সমাজের আরও বড় একটি অংশ বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসবে। বিশেষভাবে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের উপভোক্তারা এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন।(Good news- Lakhir Bhandar)

এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং তারা আর্থিক সুরক্ষায় এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাবে।

রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপটিকে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা অনেক মহিলার জীবনকে সুরক্ষিত করবে এবং তাঁদের আর্থিক স্থিতি শক্তিশালী করবে।

Official Site: Click Here

D. Chatterjee

D Chatterjee, a graduate from WBUT, is the owner and content writer of the Bengalyojana website. For the past year, he has been actively writing blogs, focusing on providing detailed updates about schemes and initiatives from the Central Government and the West Bengal Government. The website aims to deliver accurate and comprehensive information.

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment