(scheme is being increased to 2200 rupees)মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় উদ্যোগ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবারও সুখবর এসেছে। রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী এই প্রকল্পের ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, এবার থেকে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ২০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে ২২০০ টাকা করে ভাতা পাবেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কেন এত জনপ্রিয়?
২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রকল্পের শুরুতে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে ভাতা পেতেন। তবে রাজ্যের পূর্ববর্তী বাজেটে এই ভাতা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১০০০ টাকা এবং ১২০০ টাকা করা হয়।
Read More: The state government made a major announcement
প্রকল্পের আওতায় নতুন উপভোক্তা(scheme is being increased to 2200 rupees)
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করেছে, আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
ভাতা বৃদ্ধির প্রভাব
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি হলে রাজ্যের গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা আরও আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবেন। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মহিলারা এই প্রকল্পের সহায়তায় নিজেদের ছোটখাটো প্রয়োজন সহজেই মেটাতে পারবেন।(scheme is being increased to 2200 rupees)
টাকা কবে জমা হবে?
সাধারণত প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা জমা হয়। আশা করা যাচ্ছে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই এই ভাতা প্রদান করা হবে। তবে সরস্বতী পুজোর ছুটির কারণে এ মাসে ১-২ দিন দেরি হতে পারে টাকা জমা হতে।
কীভাবে এই প্রকল্পে নিবন্ধন করবেন?
যারা এখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তারা নিকটবর্তী ব্লক অফিস বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলো হল—আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং জাতিগত শংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)।
সরকারের মন্তব্য
রাজ্য সরকারের বক্তব্য, মহিলাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্যই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলার মা বোনদের উন্নতির জন্য ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রকল্পের বরাদ্দ আরও বাড়ানো হতে পারে।(scheme is being increased to 2200 rupees)
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা প্রকল্প। ভাতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত আরও বেশি সংখ্যক মহিলার জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। তাই সরকারি ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন লক্ষ লক্ষ উপভোক্তা।