(25,000 rupees in the bank) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মেয়েদের জন্য চালু করা কন্যাশ্রী প্রকল্পে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ছুঁইতে হবে। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৮৯ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। এবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরও ১১ লক্ষ ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের সংজ্ঞা কী?
কন্যাশ্রী প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ, যা মেয়েদের শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দুই ধাপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়:
প্রথম ধাপ: ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত ছাত্রীদের প্রতি বছর ১ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপ: ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া অবিবাহিত ছাত্রীদের, যারা উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজে অধ্যয়নরত, তাদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, স্নাতকোত্তর বা পেশাগত কোর্সে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
Read More: Indian Army Recruitment
মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক নির্দেশনা(25,000 rupees in the bank)
সম্প্রতি ‘স্টুডেন্ট উইক’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাতে হবে। এ লক্ষ্যে জেলা স্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের সফলতা
কন্যাশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও কিছু প্রকল্প প্রসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার ও বাংলার বাড়ি প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। রাজ্য সরকার ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পগুলির উপভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে জনসমর্থন আরও দৃঢ় করার লক্ষ্য স্থির করেছে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা
কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য মেয়েদের অবিবাহিত থাকা বাধ্যতামূলক। নবান্নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিটি মেয়ে যাতে প্রকল্পের দুই ধাপের সব সুবিধা নিশ্চিতভাবে পায়, সে লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছেন।(25,000 rupees in the bank)
কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, এটি রাজ্যের মেয়েদের শিক্ষিত, স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সফল প্রকল্প।