New Employment Scheme: আরও মানুষ কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবে, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা।

By D. Chatterjee

Published On:

Follow Us
New Employment Scheme

(New Employment Scheme)পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সবসময় রাজ্যের নাগরিকদের কল্যাণে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা বিশেষভাবে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে তৈরি হয়েছে।

কর্মশ্রী প্রকল্প কী?

কর্মশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ, যা মূলত সেই ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয়েছে, যারা ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA) আওতায় থাকলেও নির্দিষ্ট কারণে কাজ পাননি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে, যাতে তারা স্বনির্ভর হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।

কর্মশ্রী প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য:

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
  • শ্রমিকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
  • পরিবারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুবিধা।
  • কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি।

নতুন সুবিধা:

  • পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারও এখন সরাসরি আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
  • শিশুদের শিক্ষা সহায়তা, খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা।
  • দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের নতুন কাজের সুযোগ।

উপকারভোগীরা:

  • রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের পরিবার।
  • যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল এবং কর্মসংস্থানের অভাবে আছেন।

এই প্রকল্প রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়ক হবে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশনামা

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটার একটি ঘটনার সম্পর্কে জানতে পারেন, যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন বা নথিপত্র যাচাইয়ের নামে হয়রানি করা হয়েছিল। এই ঘটনা শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ও সমস্যার সৃষ্টি করেছিল।

এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে, মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ কর্মশ্রী প্রকল্প নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন।

Read More: New scheme for women

মূল সিদ্ধান্ত ও নির্দেশিকা:(New Employment Scheme)

  1. পরিবারের অন্তর্ভুক্তি:
    • যারা দেশের অন্যান্য রাজ্যে কাজ করেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    • এর ফলে শুধুমাত্র শ্রমিকরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আর্থিক সহায়তা এবং কর্মসংস্থানের সুবিধা পাবেন।
  2. নির্দিষ্ট জেলাগুলিতে বাস্তবায়ন:
    • জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার—এই তিনটি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ২.৫ লক্ষ নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
  3. বেসরকারি হিসাবের ভিত্তিতে সম্প্রসারণ:
    • সরকার বেসরকারি হিসাবের ভিত্তিতে প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা নির্ধারণ করবে।
    • এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি শ্রমিককে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
  4. আবাস যোজনার সাথে সংযোগ:
    • আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    • এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকরা গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ পেয়ে আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
  5. স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিয়োগ:
    • গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলমান নির্মাণ প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।(New Employment Scheme)

প্রকল্পের প্রক্রিয়া:

কর্মশ্রী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালনা করছে:

  1. তালিকা প্রস্তুত:
    • গ্রাম সংসদের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি।
  2. নোডাল অফিসার নিয়োগ:
    • প্রতিটি জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ, যাঁরা তথ্য সংগ্রহ থেকে কাজ বরাদ্দ পর্যন্ত তদারকি করবেন।
  3. বিডিও ও জেলা পরিষদের ভূমিকা:
    • ব্লক উন্নয়ন অফিসার (BDO) ও জেলা পরিষদকে কাজের দায়িত্ব ও শ্রমিকদের সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্দেশ।(New Employment Scheme)

এই প্রক্রিয়াগুলি প্রকল্পের স্বচ্ছ ও কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করছে।

Official SiteClick Here
ApplyClick Here

D. Chatterjee

D Chatterjee, a graduate from WBUT, is the owner and content writer of the Bengalyojana website. For the past year, he has been actively writing blogs, focusing on providing detailed updates about schemes and initiatives from the Central Government and the West Bengal Government. The website aims to deliver accurate and comprehensive information.

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment